টাকা ও থ্রি-পিসের লোভে নিজের সন্তান বিক্রি!

মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া •

জান্নাত আরা বেগম (৩৫)। স্বামী আবদুল খালেক। গত ২৬ এপ্রিল সকালের দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক ফুটফুটে শিশু সন্তান প্রসব করেন জান্নাত আরা বেগম। পরে মাত্র ১০ হাজার টাকা ও একটি থ্রি-পিসের লোভে পরে ওই শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দেয় মা । পরে তার সদ্য ভুমিষ্ট শিশু সন্তানটি বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে অভিনয় শুরু করে মা জান্নাত আরা বেগম।

কিন্তু টাকা দেনা-পাওয়ানার হিসেবে গড়মিল হওয়ায় থানার শরণাপন্ন হয় মা জান্নাত আরা বেগম। গতকাল ৩০ এপ্রিল শুক্রবার রাতে জান্নাত আরা বাদি হয়ে তার সদ্য ভুমিষ্ট সন্তান হারিয়ে গিয়েছে দাবি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে শিশু সন্তানকে উদ্ধারে অভিযানে নামেন পুলিশের একাধিক টিম। উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। ফলে তদন্তে বেরিয়ে আসে মূল ঘটনা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট কাটাখালী গ্রামে।

জানা যায়, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২৬ এপ্রিল রাতে মালুমঘাট কাটাখালী গ্রামের আবদুল খালেেেকর স্ত্রী জান্নাত আরা বেগম (৩৫) শিশু সন্তান প্রসব করেন। ওই দিন রাতেই স্থানীয় শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী মিনু আরার মাধ্যমে ১০হাজার টাকা দিয়ে খুটাখালীর এক ব্যক্তিকে নবজাতককে বিক্রি করে দেয় মা জান্নাত আরা বেগম।

ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, শিশুটিকে চুরি করা হয়নি। ১০ হাজার টাকা ও একটি থ্রি-পিসের লোভে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছে মা জান্নাত আরা। কিন্তু তার সদ্য ভুমিষ্ট সন্তানটি মিনু আরা ৬০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে বলে জানতে পারে মা জান্নাত আরা। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে মা জান্নাত আরা শিশু চুরির নাটক সাজিয়ে মিনু আরার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশি তদন্তে প্রকৃত ঘটনাটি উদঘাটিত হয়।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, জান্নাত আরা বেগম তার সদ্য ভুমিষ্ট শিশু সন্তান চুরির অভিযোগে মিনু আরা নামের এক মহিলাকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি এজাহার দেয়। এজাহার দায়েরের পর শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত মিনুর সহযোগীতায় শিশুটিকে পাশ্ববর্তী খুটাখালী এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পারে। পরে খুটাখালী থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের পর স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিন্মায় দেয়া হয়েছে।